বিভিন্ন ইসলামী বইয়ে অনেক ভিত্তিহীন রেফারেন্স আছে। ইসলামি হাদিসে রূপকথা ব্যতীত বর্তমান বিশ্বের সাথে তুলনীয় নয় এমন সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। পৃথিবী আজ অনেক এগিয়েছে কিন্তু মানুষ এখনও 1400 বছরের পুরানো মতবাদ এবং রীতিনীতিকে আঁকড়ে আছে। বিবর্তন ঘটে কিন্তু এই কট্টরপন্থী মুসলমানদের মন বদলায় না। মানুষ বিজ্ঞানের প্রদত্ত সুযোগ-সুবিধা উপভোগ করে কিন্তু তাদের মন মধ্যযুগের মতোই থাকে। একটা মজার হাদিস নিয়ে আলোচনা করব-
দুষ্টু পাথর মুসার কাপড় নিয়ে দৌড়ে গেল
194. আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ বনী ইসরাঈলের লোকেরা উলঙ্গ হয়ে গোসল করত এবং একে অপরের মুখোমুখি হত। কিন্তু মূসা (আঃ) একাকী গোসল করতেন। বনী ইসরাঈলের লোকেরা বলছিল, আল্লাহর কসম, মূসা (আ) ‘সেলুলাইটিস’ রোগের কারণে আমাদের সাথে গোসল করেন না। একবার মূসা (আঃ) একটি পাথরের উপর কাপড় দিয়ে গোসল করছিলেন। পাথর তার কাপড় নিয়ে পালাতে থাকে। তখন মূসা (আ) বললেন, “পাথর! আমাকে আমার কাপড় দাও” এবং তার পিছনে দৌড়ে গেল। এদিকে বনী ইসরাঈলের লোকেরা মূসার দিকে তাকালো। তখন তারা বলল, আল্লাহর কসম, মূসার কোনো রোগ নেই। মূসা (আ.) পাথর থেকে তার জামাকাপড় নিয়ে সেগুলো পরলেন এবং পাথর মারতে লাগলেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেনঃ আল্লাহর কসম, পাথরটি প্রহারের ছয় বা সাতটি চিহ্ন রেখে গেছে।
হাদিস স্ট্যাটাসঃ সহিহ
■ শয়তান বাম হাতে খায়
বইয়ের নাম: সুনানে আবু দাউদ (ইফা)
হাদিস নম্বরঃ [3734]
অধ্যায়: 21/ খাদ্য (খাদ্যের বই)
প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অধ্যায়ঃ ৪৭১। ডান হাতে খাওয়ার ব্যাপারে।
3734. আহমদ ইবনে হাম্বল (রহঃ)……………… ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ তোমাদের কেউ যখন খায় তখন সে যেন ডান হাতে খায় এবং যখন পান করে তখন সে যেন ডান হাতে পান করে। কারণ, শয়তান বাম হাতে খায় এবং পানি পান করে।
হাদিস স্ট্যাটাসঃ সহিহ
বইয়ের নাম: সুনানে ইবনে মাজাহ
হাদিস নম্বরঃ [3268]
অধ্যায়: 23/ খাওয়া এবং তার আচরণ (খাদ্যের বই)
প্রকাশকঃ তাওহীদ পাবলিকেশন
অধ্যায়: 23/8। ডান হাতে খাওয়া
3/3268। জাবির (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ বাম হাতে খাবে না, কেননা শয়তান বাম হাতে খায়।
মুসলিম 2019, 2099, আবু দাউদ 4137, আহমাদ 13704, 13766, 13786, 14043, 14095, 14177, 14295, 14442, 14481, 14733, মালেক 1033, মুওয়া 1033, মুওয়া 1033 3/239।
হাদিস স্ট্যাটাসঃ সহিহ
বইয়ের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফা)
হাদিস নম্বরঃ [5093]
অধ্যায়: 37/ পানীয়
প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অধ্যায়: 12. খাওয়া-দাওয়ার আদব এবং তাদের হুকুম
5093. আবু বকর ইবনে আবু শায়বাহ, মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ইবনে নুমাইর, যুহায়র ইবনে হারব এবং ইবনে আবু উমর (রা.)… ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের কেউ যখন খায়, তখন সে যেন ডান হাতে খায়। আর যখন পান করবে তখন ডান হাতে পান করবে। কারণ শয়তান বাম হাতে খায় এবং বাম হাতে পান করে।
হাদিস স্ট্যাটাসঃ সহিহ
বইয়ের নামঃ সহীহ মুসলিম (ইফা)
হাদিস নম্বরঃ [5095]
অধ্যায়: 37/ পানীয়
প্রকাশকঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন
অধ্যায়: 12. মদ্যপানের আদব এবং এর বিধান
5095. আবু তাহির ও হারাম (রহঃ) … ইবনে উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ বাম হাতে খাবে না বা পান করবে না, কারণ শয়তান বাম হাতে খায় বা পান করে”। বর্ণনাকারী বলেনঃ নাফি (রহঃ) এর চেয়েও বেশি বলতেন, কেউ বাম হাতে নেবে না বা দেবে না। আবু তাহির (রাঃ) এর বর্ণনায় “أَحَدٌ مِنْكُمْ” শব্দটি “أَحَدُكُمْ” দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে।
হাদিস স্ট্যাটাসঃ সহিহ
যখন কেউ “হাইল” বলে, তখন শয়তান মুখের মধ্যে প্রবেশ করে
বইয়ের নামঃ মিশকাতুল মাসাবীহ (মিশকাত)
হাদিস নম্বরঃ [985]
অধ্যায়: পর্ব-4: প্রার্থনা
প্রকাশকঃ হাদিস একাডেমী
বিভাগ: 19. বিভাগ এক – যে জিনিসগুলি নিষিদ্ধ এবং যেগুলি প্রার্থনার সময় জায়েয
985- [8] আবু সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “তোমাদের কেউ যখন নামাযের সময় “ওইল” বলে, তখন সে যেন যথাসম্ভব তা সংযত করে, কেননা (“ওইল” বলার সময়) শয়তান (মুখে) প্রবেশ করে। (মুসলিম)
হাদীসঃ সহীহ
মনে প্রশ্ন জাগে, যদি কোনো ব্যক্তি বাম হাতে খায়, বা বাম হাত থেকে ডান দিকে সবকিছু করে, তাহলে তাকে কি শয়তানের প্রতিনিধি বলা হবে নাকি শয়তানের? কর্মক্ষেত্রে কেউ বাম হাত বা বাম হাত ব্যবহার করলে শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ আলাদা করতে হবে কেন? এই পক্ষকে কেন পাপ মনে করা হয়? একই শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গকে আলাদা আলাদা দায়িত্বে ভাগ করতে হবে কেন? হাত না থাকলে কষ্ট কি কম হতো? হাত না থাকলে জীবন কি শেষ হয়ে যেত? নাকি প্রতিবন্ধীরা বাঁচে না? তাড়াকারী সবাই কি শয়তানের প্রতিনিধি? মানুষ যখন ঘুমিয়ে পড়বে, তখন তারা হাঁচি দেবে। এটা স্বাভাবিক, তাই মুখ বন্ধ করলেই হাঁচি হবে না!
25 Responses
আতলামির আর জায়গা পান না ? কেউ আজেবাজে কথা বলবে আর তাকে নমঃ নমঃ করা হবে? এটাই বলতে চান?
সব শিয়ালের এক রা। নিজেদের রূপটা দেখালেন এইবার।
যে কথাগুলো আপনি খুবই স্বাভাবিক ও সাধারণ কথা বলে চালাতে চাইলেন সেগুলো কি আপনি পরিবার,অফিস,রাস্তাঘাট বা অন্য যে কোনো জায়গায় হরহামেশা বলে থাকেন? নিশ্চই না? এইধরনের অফেন্সিভ শব্দ ব্যবহার করবেন আবার বলবেন নো অফেন্স। ফালতু যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে এগুলো অফেন্সিভ শব্দ নয় আর সবাই সেটা মেনে নেবে তা কিন্তু নয়।
‘মধ্যবিত্ত ট্যাবুতে আক্রান্ত হয়ে মুষড়ে পড়ার কিছু তো দেখি না …। কি করে বলেন এইসব কথা ? আপনার ভাষ্যমতে ‘নর্মাল স্ল্যাং’ ব্যবহার উচ্চবিত্তদের জন্য সাধারন ব্যাপার, আর সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করলেই মধ্যবিত্ত ট্যাবু ! এই আপনি লেখক? এত ক্ষুদ্রতা নিয়ে লেখেন কি ভাবে?
এইসব আলতু ফালতু পেইজের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা দরকার।
লেখস তো শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কি লিকিশ সবই দেখি। তোরে গর্দান এক কোপে ধড় থেকে ফেলে দিতে পারলে ভালো লাগতো
“আত্মঘাতী বোমার বিরুদ্ধে অস্ত্রের জোর খাটবে না, সংবেদন এবং কৌশল লাগবে।” একমত। এদেরকে অন্যভাবে লাইনে আনতে হবে।
চোখের বদলা চোখ তুলে ফেলাই যদি রীতি হয় তবে পৃথিবীতে তো সব অন্ধ হয়ে যাবে একদিন।
শুধু ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখতে ভালো লাগে? তাই না? হারামী নাস্তিক কাফেরের বাচ্চা
এইসব লেখা লিখে কি লাভ হবে, কিছুই হয়না
আপনার জ্ঞান বুদ্ধি এত কম তাই এইসব আবোল তাবোল লেখেন
আমি অবাক হয়ে যাই এসব লেখা দেখে। লেখা দেখলেই বুঝতে পারা যায় যে এই লোকের মেধা কত কম। জ্ঞান বুদ্ধি কম হলেই মানুষ এই জাতীয় অথর্ব লেখা লিখতে পারে
এইসব নির্বোধগুলা তো শুধু মরে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। এদেরকে যারা এই পথে নিয়ে আসে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
চমৎকার লেখনী ও যুক্তি। কিপ ইট আপ ব্রো
হায়রে ধর্ম ! হায়রে মানুষ ! কে কার জন্য বুঝি না।
হিন্দুরা যে গরু জবাই করলে মানুষ মারে, লন্ডনে যে এসিড মারে, ইহুদিরা যে মুসলমান মারে, বৌদ্ধরা যে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে এইসময় তো তুই কেন কেন করস না। শুধু মুসলমান হইলেই তোদের যত সমস্যা। তোর সব কেনর উত্তর পাবি কোপানি খাইলে।
শালা খানকির পো তোর কি সমস্যা?
শুয়োরের বাচ্চা চড়াইতে চড়াইতে মেরে ফেলবো।
কুত্তার বাচ্চা তোরে সামনে পাইলে ডগি স্টাইলে চুইদা পাছা ফাটাইয়া ফালাইমু, খানকির বাচ্চা।
বেয়াদবির একটা সীমা থাকা উচিত। তোরে শাস্তি দেওয়ার সময় আসছে।
হালার পো তোরে না মানা করসিলাম লেখালেখি করতে? তারপরও? দাড়া তোরে মজা বুঝানোর সময় হয়ে গেসে।।
শালা তোরে আমি যেদিন সামনে পাবো চাপাতি দিয়া কোপাইয়া তোর টুকরা টুকরা করে শেয়াল কুকুরকে খাওয়াবো।
তোর ঠ্যাং ভাইঙ্গা হাতে ধরাই দিমু শালা মাগিবাজ
হালার পো তোরে না মানা করসিলাম লেখালেখি করতে? তারপরও? দাড়া তোরে মজা বুঝানোর সময় হয়ে গেসে।।
সাহস থাকলে দেশে আয়তো দেখি, তারপর দেখি তোর কতবড়ো হ্যাডম?