মৃত হিন্দু স্বামীর চিতায় স্ত্রীদের জীবন্ত পুড়িয়ে মারার প্রথাকে বলা হয় সতীদাহ প্রথা। অনেক হিন্দু এবং নাস্তিক দাবি করেন যে তাদের ধর্মীয় গ্রন্থে এমন প্রথা নেই। কিন্তু বেদ ও অন্যান্য ধর্মীয় গ্রন্থে এই অপকর্মের বেশ কিছু আদেশ পাওয়া যায় যে অমানবিক শ্লোক বা বাণী স্বর্গের লোভে নারীর জন্য সমাজ ও পরিবারের জন্য অমানবিক। হিন্দুদের মতে নাস্তিক রাজা রাম মোহন এবং তৎকালীন গভর্নর লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কও অতীতের কিছু মুঘল ও মুসলিম শাসকের প্রচেষ্টায় এই ব্যবস্থা বাতিল করেছিলেন।
আয়াতগুলো নিচে দেওয়া হলো,
“আমরা অনেক জীবিত মহিলাকে মৃতের বধূ হতে আত্মহত্যা করতে দেখেছি”
– অথর্ব বেদ (18/3/1,3)
“মানুষের শরীরে সাড়ে তিন কোটি লোম আছে, যে নারী মৃত্যুর পরেও স্বামীকে অনুসরণ করে, সে স্বামীর সাথে ৩৩ কোটি বছর স্বর্গে বেঁচে থাকার ধন্য হয়।”
– পরাশর সংহিতা (4:28)
তার মানে নারী তার স্বামীর মৃত্যুর পর আত্মত্যাগের সাথে তার স্বামীকে অনুসরণ করবে, তার জন্য স্বামীর সাথে ৩৩ কোটি বছর স্বর্গে সুখের নিশ্চয়তা পাবে। স্বামীর সঙ্গের প্রলোভন।
“স্বামী মারা যাওয়ার পর যদি কোন সতী মহিলা আগুনে প্রবেশ করে তবে সে স্বর্গে পূজিত হয়।”
– দক্ষিণ সংহিতা (4:18-19)
অর্থাৎ স্বামী চিতায় প্রবেশ করলেই স্বর্গে তার পূজা হবে! কত বড় প্রলোভন সেটা ভেবে দেখুন।
“যে নারী স্বামীর চিতায় আত্মাহুতি দেয়, সে তার পিতা ও স্বামীর পরিবার উভয়কেই পবিত্র করে”
– দক্ষিণ সংহিতা (5:160)
অর্থাৎ একজন নারী তার জীবন উৎসর্গ করলে সে তার পিতা ও স্বামীর পরিবার উভয়কেই পবিত্র করবে এবং পবিত্র হওয়ার কারণে তাদের জন্য বেহেশত উন্মুক্ত হয়ে যাবে। সুতরাং, বাবা এবং স্বামীর পরিবার উভয়ই এই আত্মকেন্দ্রিক সমর্থন, উত্সাহ এবং এমনকি তাদের এটি করতে বাধ্য করতে সমর্থন করত না।
যে ধর্ম এত অমানবিক তা পালন করার জন্য মানুষ কিভাবে নিজেকে মানুষ, শ্রেষ্ঠ বলে দাবি করতে পারে? আমি সেই মুসলিম নারীদের জন্য করুণা অনুভব করি যখন তারা ধর্মের প্রতি এত যত্নশীল। তারা তাদের বাড়ির লোকদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মগজ ধোলাই হয়। কারণ ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু গেলে বা ধর্মের বিরুদ্ধে একটুও কথা বললে তারাই প্রথমে আপনাকে তাড়া করে এবং তাদের বাবা, ভাই ও সন্তানকে ধর্মের মধ্যে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।
এদিকে হাদিসে নবীজি বলেছেন, তিনটি জিনিস মন্দ, নারী, ঘর ও ঘোড়া! সমগ্র মানব জাতির জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু নেই। নারীদের দেখলে নামাজ পূর্ণ হয় না। নারীদের প্রতি এ ধরনের বহু অপমানজনক কথা তাদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন ও হাদিস থেকে দেখা যায়।
আরেকটি বিষয় হল মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। এমনকি কিছু জায়গায় কিছু মুসলিম ইমাম মসজিদের রাস্তায় মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ করেছেন। শুধু নারী কেন, অন্য কেউ এসব মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না, প্রশ্ন করতে পারে না। এটাই তাদের নিয়ম। এদিকে বাংলাদেশের মুসলমানদের খুশি রাখতে সারাদেশে আরও ৫০০ মসজিদ করার ঘোষণা দিয়েছেন হাসিনা। এতে সমাজের কী উপকার হবে বুঝতে পারছি না। একটা মসজিদ কিভাবে কাজে আসবে জানি না, যেখানে ইতিমধ্যেই সারাদেশে হাজার হাজার মসজিদ আছে, মাদ্রাসা আছে, প্রতিটি গলিতে একটি করে মসজিদ আছে। কেন আরো মসজিদ নির্মাণ করতে হবে বুঝতে পারছি না।
কিন্তু আমি মনে করি এটা তো শুরু, কিছু দিন পর সব জায়গায় মসজিদ হবে। আর একে অপরের পথে এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকবে, ‘নারীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’। নারীদের চলাফেরার জায়গা সংকুচিত হবে। আসলে, তাহলে আমরা দেখব আজকের ‘ধার্মিক’ মুসলিম মহিলারা কী বলে যারা সবসময় ধর্ম নিয়ে কথা বলে। তারা কিভাবে বলে, ‘নারীকে পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছে একমাত্র ইসলাম’! আমি সত্যিই এটা সম্পর্কে আরো জানতে চাই. সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে হয়তো শেষ পর্যন্ত শরিয়া আইন অনুযায়ী নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ হবে।
12 Responses
“আত্মঘাতী বোমার বিরুদ্ধে অস্ত্রের জোর খাটবে না, সংবেদন এবং কৌশল লাগবে।” একমত। এদেরকে অন্যভাবে লাইনে আনতে হবে।
শিরোনামটা দেখেই আপনার মনোভাব পরিস্কার বুঝা যায়। হিন্দু,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান এসব ধর্মের লোকজন ধোয়া তুলশি? ভারতে সামান্য গরু জবাইকে কেন্দ্র করে মানুষ পিটিয়ে খুন, এসিড সন্ত্রাস, আর রোহিঙ্গা নির্যাতন এগুলোও কি মুসলমানদের কাজ?
চোখের বদলা চোখ তুলে ফেলাই যদি রীতি হয় তবে পৃথিবীতে তো সব অন্ধ হয়ে যাবে একদিন।
শুধু ইসলাম ধর্ম নিয়ে লিখতে ভালো লাগে? তাই না? হারামী নাস্তিক কাফেরের বাচ্চা
এইসব লেখা লিখে কি লাভ হবে, কিছুই হয়না
আপনার জ্ঞান বুদ্ধি এত কম তাই এইসব আবোল তাবোল লেখেন
আমি অবাক হয়ে যাই এসব লেখা দেখে। লেখা দেখলেই বুঝতে পারা যায় যে এই লোকের মেধা কত কম। জ্ঞান বুদ্ধি কম হলেই মানুষ এই জাতীয় অথর্ব লেখা লিখতে পারে
এইসব নির্বোধগুলা তো শুধু মরে গিয়ে শেষ হয়ে যায়। এদেরকে যারা এই পথে নিয়ে আসে তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনা দরকার।
চমৎকার লেখনী ও যুক্তি। কিপ ইট আপ ব্রো
হায়রে ধর্ম ! হায়রে মানুষ ! কে কার জন্য বুঝি না।
হিন্দুরা যে গরু জবাই করলে মানুষ মারে, লন্ডনে যে এসিড মারে, ইহুদিরা যে মুসলমান মারে, বৌদ্ধরা যে মুসলিমদের উপর নির্যাতন করে এইসময় তো তুই কেন কেন করস না। শুধু মুসলমান হইলেই তোদের যত সমস্যা। তোর সব কেনর উত্তর পাবি কোপানি খাইলে।
শালা খানকির পো তোর কি সমস্যা?