নারীর পূর্ণ মর্যাদা কি ইসলাম দিয়েছে?

আমি সেই মুসলিম নারীদের জন্য করুণা অনুভব করি যখন তারা ধর্মের প্রতি এত যত্নশীল। তারা তাদের বাড়ির লোকদের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি মগজ ধোলাই হয়। কারণ ধর্মের বিরুদ্ধে কিছু গেলে বা ধর্মের বিরুদ্ধে একটুও কথা বললে তারাই প্রথমে আপনাকে তাড়া করে এবং তাদের বাবা, ভাই ও সন্তানকে ধর্মের মধ্যে ফাঁসানোর চেষ্টা করে।

এদিকে হাদিসে নবীজি বলেছেন, তিনটি জিনিস মন্দ, নারী, ঘর ও ঘোড়া! সমগ্র মানব জাতির জন্য নারীর চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু নেই। নারীদের দেখলে নামাজ পূর্ণ হয় না। নারীদের প্রতি এ ধরনের বহু অপমানজনক কথা তাদের পবিত্র গ্রন্থ কোরআন ও হাদিস থেকে দেখা যায়।

আরেকটি বিষয় হল মসজিদে মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। এমনকি কিছু জায়গায় কিছু মুসলিম ইমাম মসজিদের রাস্তায় মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ করেছেন। শুধু নারী কেন, অন্য কেউ এসব মসজিদ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে না, প্রশ্ন করতে পারে না। এটাই তাদের নিয়ম। এদিকে বাংলাদেশের মুসলমানদের খুশি রাখতে সারাদেশে আরও ৫০০ মসজিদ করার ঘোষণা দিয়েছেন হাসিনা। এতে সমাজের কী উপকার হবে বুঝতে পারছি না। একটা মসজিদ কিভাবে কাজে আসবে জানি না, যেখানে ইতিমধ্যেই সারাদেশে হাজার হাজার মসজিদ আছে, মাদ্রাসা আছে, প্রতিটি গলিতে একটি করে মসজিদ আছে। কেন আরো মসজিদ নির্মাণ করতে হবে বুঝতে পারছি না।

কিন্তু আমি মনে করি এটা তো শুরু, কিছু দিন পর সব জায়গায় মসজিদ হবে। আর একে অপরের পথে এ ধরনের সাইনবোর্ড থাকবে, ‘নারীদের প্রবেশ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ’। নারীদের চলাফেরার জায়গা সংকুচিত হবে। আসলে, তাহলে আমরা দেখব আজকের ‘ধার্মিক’ মুসলিম মহিলারা কী বলে যারা সবসময় ধর্ম নিয়ে কথা বলে। তারা কিভাবে বলে, ‘নারীকে পূর্ণ মর্যাদা দিয়েছে একমাত্র ইসলাম’! আমি সত্যিই এটা সম্পর্কে আরো জানতে চাই. সময়মতো পদক্ষেপ না নিলে হয়তো শেষ পর্যন্ত শরিয়া আইন অনুযায়ী নারীদের ঘর থেকে বের হওয়া নিষিদ্ধ হবে।

15 Responses

  1. হারামখোর তুই আসলে অমানুষের বাচ্চা

  2. তুই থাকস লন্ডনে কুত্তার বাচ্চা, একবার দেশে আয়। কিভাবে কোপামু তারপর দেখবি

  3. এইসব উগ্রবাদীদের পেছনের হাত অনেক শক্ত। একা কিছু করা হয়তো সম্ভব হবে না তবে ধীরে ধীরে মানুষের মনে এদের সম্পর্কে ধারনা দিতে হবে। তাহলেই হয়তো একদিন এদের বিরুদ্ধে জনপ্রতিরোধ গড়া সম্ভব হবে।

  4. বিশ্বের সব বড় বড় ধনী দেশগুলোই জঙ্গীবাদের মূল পৃষ্ঠপোষক। নিজেদের স্বার্থেই তারা জঙ্গীদের তৈরি করেছে। আর এখন এইসব জঙ্গীরা তাদের বিরুদ্ধেই অস্ত্র ধরেছে। যারা জঙ্গী তৈরি করেছে আর যারা তাদের এখন পরিচালিত করছে তারা সবাই নিজেদের স্বার্থের জন্য করছে। মাঝখান থেকে মরছে কিছু সাধারণ মানুষ।

  5. তথাকথিত মুসলিমদের ‘মনুষ্যত্ব’ নেই আছে শুধু ‘ধর্মানুভুতি’। সেটিও খুব নড়বড়ে, কেউ কিছু বললেই আঘাতে জর্জরিত হয়।

  6. ঢিলটি ছুঁড়লে পাটকেলটি খেতে হয়। যার যার কর্মফল ভোগ করতে হয়।

  7. এই দুনিয়া থেকে সমস্ত কাফের, মুরতাদ বিদায় করা হবে। দেখে নিস তোরা।

  8. আতলামির আর জায়গা পান না ? কেউ আজেবাজে কথা বলবে আর তাকে নমঃ নমঃ করা হবে? এটাই বলতে চান?

  9. সব শিয়ালের এক রা। নিজেদের রূপটা দেখালেন এইবার।

  10. যে কথাগুলো আপনি খুবই স্বাভাবিক ও সাধারণ কথা বলে চালাতে চাইলেন সেগুলো কি আপনি পরিবার,অফিস,রাস্তাঘাট বা অন্য যে কোনো জায়গায় হরহামেশা বলে থাকেন? নিশ্চই না? এইধরনের অফেন্সিভ শব্দ ব্যবহার করবেন আবার বলবেন নো অফেন্স। ফালতু যুক্তি দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করবেন যে এগুলো অফেন্সিভ শব্দ নয় আর সবাই সেটা মেনে নেবে তা কিন্তু নয়।

  11. ‘মধ্যবিত্ত ট্যাবুতে আক্রান্ত হয়ে মুষড়ে পড়ার কিছু তো দেখি না …। কি করে বলেন এইসব কথা ? আপনার ভাষ্যমতে ‘নর্মাল স্ল্যাং’ ব্যবহার উচ্চবিত্তদের জন্য সাধারন ব্যাপার, আর সেটা নিয়ে প্রতিবাদ করলেই মধ্যবিত্ত ট্যাবু ! এই আপনি লেখক? এত ক্ষুদ্রতা নিয়ে লেখেন কি ভাবে?

  12. রোহিঙ্গারা এমনিতেই অনেক নির্যাতনের শিকার। এদের মানবেতর জীবনের ছবি ফেইক করার কোনো প্রয়োজন হয় না।

  13. এইসব আলতু ফালতু পেইজের বিরুদ্ধে রিপোর্ট করা দরকার।

  14. কি অমানবিক নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গারা!! আমাদের উচিত এদের পাশে দাঁড়ানো।

  15. লেখস তো শুধু ইসলামের বিরুদ্ধে, অন্য ধর্মের বিরুদ্ধে কি লিকিশ সবই দেখি। তোরে গর্দান এক কোপে ধড় থেকে ফেলে দিতে পারলে ভালো লাগতো

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *