লেখক পরিচিতি

আমি ব্যক্তিগতভাবে একটি রক্ষণশীল পরিবারে জন্মগ্রহণ করে থাকলেও আমার চিন্তাভাবনা রক্ষণশীল সমাজের সাথে বেশ বেমানান। আমি মুক্ত চিন্তার অধিকারী। আমি স্বাধীন ভাবে, মুক্ত বাতাসে বাঁচতে ভালবাসি। আমি চাই মানুষ ধর্মের মতো একটি কাল্পনিক বিশ্বাসের জগত থেকে বের হয়ে একটি মানবিক জীবনযাপন করুক। স্বাধীন-মুক্ত ভাবে সকল মানুষকে মানুষের মর্যাদা দিক। 

আমার এই মুক্ত চিন্তা সবার মধ্যে উন্মুক্ত করার জন্যেই মূলত এই লেখালেখি। অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন আমি কেন লিখি? অনেক সময় মনে হয়, আমি নিজের জন্যেই লিখি। তবে পরে ভেবে দেখি, সেটা আসলে পুরোপুরি সত্য না। যদি নিজের জন্যেই লেখা, তাহলে সেগুলো নিজের ডায়রির সীমাবদ্ধতা পেরিয়ে অনলাইন ব্লগে প্রকাশ হতো না। আবার ভাবি, আমি হয়তো আমার দুই একজন শুভাকাঙ্ক্ষীর পাঠকের জন্য লিখি। আবার সেটা নিয়েও ভেবে দেখি, সেটাও পুরোপুরি সত্য না। কার্বন আমি আমার পাঠকদের দ্বারা খুব বেশি প্রভাবিত হই না। কে কি ভাবল, কে কি মন্তব্য করলো, এসবে আমার তেমন কিছু যায় আসেনা। কে পড়লো কে পড়লো না সেগুলো নিয়েও ভাবি না। বেশিরভাগ সময় মন্তব্যগুলো পড়াই হয়না। তাদের মনের মত করে, তাদের খুশি করে লেখালেখি আমি খুবই অপছন্দ করি। এই দিক দিয়ে বেশ অহংকার বলুন আর ইগো বলুন, আমি চাই না কারোর ইচ্ছা অনুসারে লেখার। আমার লেখা নিতান্তই আমার মতামত। আপনার মতামত আপনি লিখতে পারেন, আমার মন্তব্য ঘরটি সদা উন্মুক্ত, তবে সেটা আমার মত নয়।  

তাহলে কেন লিখি? আমার মনে হয়, আমার লেখাগুলো এক একটা জীবন্ত মানুষের মতো। অথবা পাখির মতো। লেখাগুলো তৈরি করতে আমার যথেষ্ট পরিশ্রম করতে হয়, পড়ালেখাও করতে হয়। এরপরে লেখাগুলো যখন জীবন্ত হয়ে ওঠে, তখন তাকে ডানা মেলে উড়ার অধিকার দিতেই হয়। সে ডানা মেলে উড়ুক, গাছে গাছে বাসা বাধুক, ডিম পাড়ুক, বংশবৃদ্ধি করুক। নিজের মত করে নিজে চড়ে বেড়াক। একজন লেখক তো আল্লাহ, অথবা, ঈশ্বর অথবা স্রস্টা। এক একটা লেখা আমার সন্তানের মতো। তারা স্বাধীন, তারা যেন অসংখ্য মগজে বাসা বাঁধতে পারে, তাই তাদেরকে ছেড়ে দেয়া। তাই কেন লিখি, এই প্রশ্নের উত্তর একটু জটিল। একটু অগোছালো। আমি এর সরাসরি এক কথায় উত্তর দিতে পারিনা। 

আমি আপনাকে স্বাগতম জানাই আমার ব্লগগুলো পড়ার জন্য। ধন্যবাদ জানাই আপনাদের আমার প্রতি আপনাদের ভালোবাসার জন্য। 

এমডি মিজানুর রহমান 
ব্লগার, অধিকার কর্মী।